আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন থাইল্যান্ডের গুহায় দুই সপ্তাহ ধরে আটকা থাকা ১২ কিশোর ফুটবল দলের কোচ। শনিবার থাই নৌবাহিনী এ চিঠি প্রকাশ করে। অত্যধিক বৃষ্টিপাত, গুহায় অক্সিজেনের মাত্রা কমে আসা ও গুহার বাইরে বন্যার পানি ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার অবস্থার মধ্যেই কিশোর দলকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে থাই কর্তৃপক্ষ।

গুহায় আটকে থাকা কিশোর ফুটবল দলের মধ্যে কোচ এক্কাপল চান্তাওয়াংই সবচেয়ে বয়স্ক (২৫)। কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।

’কিশোরদের পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই-শিশুরা সবাই ভালো আছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমি আমার সাধ্যমতো কিশোরদের যত্ন নিয়ে যাব।’ চিঠিতে জানান ওই কোচ। তিনি শুক্রবার এক ডুবুরির কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন। পরে থাই নৌবাহিনী সীল শনিবার ফেসবুকে তা প্রকাশ করে। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘নৈতিক সমর্থন দেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ এবং আমি সকল অভিভাবকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

চিঠিতে বিউ নামে স্বাক্ষর করা এক কিশোর বলেছে, ‘আব্বু-আম্মু চিন্তা কর না। আমি দুই সপ্তাহ ধরে এই গুহায় আছি। কিন্তু আমি খুব শিগগিরই তোমাদের কাছে ফিরে আসব এবং দোকানের জিনিসপত্র বিক্রিতে সাহায্য করব।’ ওই কিশোরের পরিবার দোকানদার। ডম নামে আরেকজন লিখেছে-ভালো আছি, তবে এখানকার আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা।

thai-coach-note

বন্যার পানি থেকে যাতে কিশোররা রক্ষা পেতে পারে এবং ডুব দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে, সেজন্য তাদের সাঁতার শেখানো হচ্ছে। তবে শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা সাঁতরিয়ে ডুব দিয়ে বের হয়ে আসার জন্য এখনও প্রস্তুত নয়।

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াই রাইয়ের এ গুহাটিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আটকা রয়েছে ১২ কিশোর ও তাদের কোচ। তাদের উদ্ধারে বিশাল অভিযান চলছে।

থাই নেভি সিল প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আফাকর্ন ইয়ো-কংক্যাও বলেছেন, গুহার ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। একজন চিকিৎসক বলছেন, অক্সিজেনের এ মাত্রায় হাইপক্সিয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। উচ্চতার কারণে মানুষের যে অসুস্থতা তৈরি হয় এটাও একই অবস্থার তৈরি করবে।

ইয়ো-কংক্যাও বলছেন, এই অবস্থায় গুহার ভেতরে ওই কিশোরদের বেশিদিন রাখা খুব বিপদের কারণ হতে পারে। তাদের গুহার ভেতর থেকে এখনই বের করে আনতে গেলেও যে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।